![]() |
লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় |
ঐতিহ্য
ডেস্ক | কাছেদূরে ডটকম লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের
গৌরবের ৫০ বছর: নিবারণ বড়ুয়া: পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি
রে হায় ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের
কথা, সে কি ভোলা যায় আয় আর একটিবার আয়রে সখা, প্রাণের
মাঝে আয় মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ
জুড়াবে তায় মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি
দোলায়- বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি
বকুলের তলায় হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে
কোথায় আবার দেখা যদি হল, সখা,
প্রাণের মাঝে আয়। জীবন! সে তো
পদ্ম পাতার শিশির বিন্দু। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে একটু একটু করে প্রখর হওয়া ভোরের
প্রথম আলোকরশ্মি কিংবা শীতের রাতে টিনের চালের টুপটাপ শব্দ এইতো জীবন। পন্ডিত
রবিশঙ্করের মতে ফেলে আসা শৈশবে নিষ্কলুষ ছিল জীবন। তাই সময় বা বয়স সামনের দিকে
এগিয়ে চললেও আমরা ফেছনে ফিরে যেতে চাই, সেই নির্লোভ,
নির্ভেজাল নিষ্কলুষ শৈশবের কাছে। বন্ধু, আড্ডা আর হৈ হুল্লোড়ের শ্রেষ্ঠ সময় মনে হয় স্কুলে পড়ার সময়টা। তাই হয়তো
এই স্মৃতিই মানুষকে বেশি ভোগায়। লামার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আবেগের সঙ্গে মিশে থাকা প্রাচীন বিদ্যাপীঠটির দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে
আগামী শনিবার। ১০ মার্চ ২০১৮ সাল। বান্দরবান জেলার লামাবাসির জন্য একটি স্মরণীয়
দিন। ফাগুনের হাওয়ায় হাওয়ায় মন দুলে যায়। বন্ধুত্বের মহামিলন মেলার অপেক্ষায়। ফিরে
পাওয়া হারানো দিনের স্মৃতিতে ডুবে থাকার একটি সময়ের প্রতীক্ষায়। কিছু আনন্দ বেদনা ভাগাভাগির
মোক্ষম মুহূর্ত। পার্বত্যবাসীর
জীবন জীবিকার সঙ্গে মিশে থাকা মাতামুহুরী নদীর তীর ঘেঁষা লামা সরকারি উচ্চ
বিদ্যালয়। এমন পাড়া গাঁয়ের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠার
গৌরবের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী ঘিরে এখন
রয়েছে উৎসবের আমেজ। সপ্তাহ ধরে এলাকায় চলছে সাজ সাজ রব। দূরের কর্মস্থল বা
আবাসস্থল থেকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই স্বপরিবারে নিজ গ্রামে বেড়াতে
আসছেন। এ মহা মিলনমেলার আনন্দ ভাগাভাগি করতে উদগ্রিব হয়ে আছেন সবাই। এ যেন তিন
প্রজন্মের সেতুবন্ধন, স্মৃতির মিনারে ভালবাসার মেলবন্ধন। দীর্ঘ বিশ
বছরেরও বেশি সময় পরে প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় অতীতের স্মৃতির উপর ভর
করে শুরু হবে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। অনেকর সাথে দেখা হয়ে যাবে। সেই শৈশব কৈশোরের
বন্ধুদের হৃদয় উজার করে বুকে টেনে নেওয়ার আকাঙ্খায় আমরা ছুটে যাব আমাদের প্রিয়
প্রাঙ্গণে। গত এক বছর ধরে প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে গিয়ে অবশেষে শেষ হতে চলেছে সেই
প্রতিক্ষার প্রহর। দেখা হয়ে যাবে অনেকের প্রথম জীবনের অব্যক্ত প্রেমের নায়িকদের
সাথে। তাঁরা আসবে স্বামী, বাচ্চাদের সাথে। তারপরেও এই বয়সে
একটু হলেও বুকে ব্যথা লাগবে সেই প্রিয় মানুষটিকে দেখে। কত দিন দেখা হয়নি। তারপরেও
মনে হবে আমরা কত কাছের প্রিয় বন্ধু হয়ে আছি।
নব্বই দশকের
দিকে লামা বাজার ছাড়া কোথাও বিদ্যুৎ ছিল কি না আমার মনে নেই। অনুন্নত ছিল যোগাযোগ
ব্যবস্থা। সন্ধ্যা হলেই নিরব হয়ে যেত লামার জনপদ। শনি মঙ্গলবারে হাট বসতো। যা এখনো
চলমান আছে। স্কুল ছুটির পরে বাবারা আমাদেরকে ব্যাগ ভর্তি তরি-তরকারি ধরিয়ে দিতেন।
বইসহ সেই ব্যাগ মাথায় নিয়ে গ্রামের সরু কাঁচা রাস্তা ধরে বাড়ি ছুটতাম। ছিল না ঘরে
ঘরে টেলিভিশন। বিনোদনের জন্য মানুষের এক মাত্র স্থান ছিল লামা সিনেমা হল। সন্ধ্যা
হলেই স্কুল কলেজ পড়–য়ারা হারিকেন
জ্বালিয়ে উচ্চস্বরে আওয়াজ করে পড়তে বসতো। বাবা-মায়েরা সাংসারিক কাজে ক্ষেত খামারে
ব্যস্থ থাকতো। সন্তানরা কি পড়ছে, কোথায় যাচ্ছে, কি করছে তেমন খবর রাখতো না। ছিল না দেশের খবরা-খবর রাখার কোন যন্ত্র বা
বিনোদনের কোন মাধ্যম। খবরে কাগজ পৌছাতো সন্ধ্যায় বা তার পরের দিন। ভোর হলেই
লামা সদরের আশপাশের গ্রাম থেকে স্কুল ড্রেসপরে স্কুল যাত্রায় ব্যস্থ হতো
শিক্ষার্থীরা। কাঠফাটা রোদে এক গাদা বই বোগলদাবা করে পাড়ি দিতে হতো চার-পাঁচ
কিলোমিটার। শরীর থেকে ঘাম ঝরে শার্ট ভিজে সেই
ঘাম গড়াতো বইয়েও। কাঁধে বইয়ের ব্যাগ নেওয়ার প্রচলন থাকলেও জড়তার কারনে কেউ নিত না।
যার কারনে পলিথিন ব্যাগে করে বই আনতে কেউ কেউ সাচ্ছন্দ্য বোধ করতো। তবে সাইকেল
চালিয়ে স্কুলে আসতো বেশ কয়েকজন। ফনিকস বা হিরো সাইকেল সেই সময়ে দামি ব্রান্ড ছিল।
পরীক্ষায় ভাল পাশ করলে মা বাবার কাছে বায়না ধরতো সাইকেলের। বৈশাখ মাসে কৃষক মা
বাবার পরিশ্রমের ক্ষেতের মরিচ বা বাদাম নয়তো তামাক বিক্রি করে সন্তানের বায়না
মিটাতো। ছেলের সাফল্য মানেই পিতার মাতার
চোখে মুখে আনন্দের বন্যা। আমরা নদীতে
ডুব দিয়ে গোসল সেরে তেল দিয়ে মাথা ভিজিয়ে রাখতাম। গায়্ওে মাখতাম সেই তেল। স্কুলের
সম্মানিত শিক্ষকদের নির্দেশ মাথায় তেল
দিতে হবে। নখ কাটতে হবে। পরিপাটি পোষাক। তার মধ্যেও অনেকে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে
মানতে পারেনি সেই ছোটখাট নির্দেশ। অনেকে খালি পায়ে স্কুলে এসে এ্যাসেম্বিলি ক্লাশে
শিক্ষকের কান টানা খেয়েছে। মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হলেও ইংরেজী রচনা ভীতির কারনে
রাখাল স্যারের ভয়ে ক্লাশে ঢুকেছে অনেকে। তবে পড়াশুনায় তারা পিছিয়ে যায় নি।
বর্ষাকালে কাঁদা মাখা সড়কে লুঙ্গি পড়ে হেঁটে স্কুলে এসে স্কুলের বারান্দায় পেন্ট
পড়েছে। সেই সময়ের অনুন্নত লামা আর এই সময়ের উন্নত লামার মধ্যে ব্যবধান অনেক। এখন
আদরের প্রিয় সন্তানের হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যায় মা বাবা। সন্তানকে প্রতিদিনের
স্কুলের পড়া গুছিয়ে দিয়ে শিক্ষকের পিছনে লেগে থাকে অভিভাবকেরা। প্রাথমিকের গন্ডি
না শেষ হতেই প্রস্তুতি নেয় ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর। লামা উপজেলার
একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। কোন
সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে নতুন ভর্তি হতো সে হয়ে উঠতো সবার মধ্যমণি। বন্ধুত্ব হয়ে যেত
খুব দ্রুত। তার পোষাক পরিচ্ছদ, কথা বলা, চালচলন দেখে অনেকে অভিভুত হতো। তার কাছ থেকে অনেকে অনেক কিছু ধারণ করতো
বা শিখতো। খ্রীষ্টান মিশন থেকে স্কুলে আসতো
শত শত ছেলে মেয়ে। পাহাড়ের অজ পাড়া গাঁয়ের জন বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মা
বাবার সন্তান তারা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তারা নিজ গ্রামে আলো
জ্বালিয়ে গ্রামকে আলোকিত করবে। এটাই ছিল সেই সময়ের প্রেক্ষাপট। এর কারণ হলো দরিদ্র
কৃষক মা বাবার সন্তানরাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ ছিল। তারা যেমনি পিছিয়ে ছিল
আধুনিকতা আর সমসাময়িক জ্ঞান থেকে তেমনি উন্নত মনমানসিকতা থেকেও। বর্ষাকালে বৃষ্টি
হলে অনেক শিক্ষার্থীর ভয়ে বুক ধঢ়ফড় করতো নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে দুর্ঘটনার ভয়ে।
ধানকাটা,তামাক চাষ শুরু হলেও স্কুল কামাই হতো রেশ
শিক্ষার্থীর । কারণ পড়ার চেয়ে মাঠে শ্রম দেওয়া টাই পরিবারের কাছে মূখ্য। নব্বই দশকের
দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেন্টার পরীক্ষার
নামে একটি পরীক্ষা হত। সেই পরীক্ষায় প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নেওয়ার
সুযোগ পেত ছয় সাত জনের মত ছাত্র-ছাত্রী। পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল নুনারবিল সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমি সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়ে ছিলাম লামা সরকারি
উচ্চবিদ্যালয়ে। পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়া হত মেধা তালিকা, প্রথম বিবেচনা, দ্বিতীয় বিবেচনা, তৃতীয় বিবেচনা। আবার বিশেষ নামক একটি বিবেচনাও ছিল। এই বিবেচনা ছাড়া
দুএকজনই উত্তীর্ণ হতে পেরেছে পরের ক্লাশের গন্ডি। প্রতি বছরে ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন
ভর্তি হতো ৫০-৬০ জন। সপ্তম শ্রেণীতে উঠার আগেই ঝরে পড়তো ১০-১৫ জনের মত। অভাব আর
দারিদ্রতার কারণে মা বাবারা সন্তানদের শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারতেন
না। তারপরেও শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল প্রতিযোগিতা। অভাব আর
দারিদ্রতাকে পায়ে ঠেলে পড়ালেখা আর খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় মেতে থাকতো। আধুনিকতার
ছোঁয়া না থাকলেও তারা ধ্যানে জ্ঞানে একটি পর্যায়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতো। নিজের
প্রচেষ্টা আর মা বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের টাকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে আজ লামা
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী সফল। তেমনি সন্তানের সফলতা নিয়ে মা বাবারা যেমন গর্ব করে তেমনি লামা
উপজেলার সাধারণ মানুষও গর্বিত। লামা
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শত শত আলোকিত সন্তান প্রসব করেছে। সৃষ্টি করেছে আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আমলা, শিক্ষক,
রাজনীতিবিদ। সেই আলোকিত সন্তানদের নেতৃত্বে লামা, বান্দরবান, এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টর
এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে ভুমিকা রেখে চলেছে। আজ লামা
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দৈন্যদশা। স্কুলের নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি হয়ে যায়
ক্লাশ। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব। নেই অবকাঠামোগত সুবিধা। অনুন্নয়ন আর অবহেলায় জরা জীর্ণদশায়
এই বীর প্রসবিনী শত শত আলোকিত সন্তানের মাতা। মলিনের পথে তাঁর বর্ণাঢ্য ইতিহাস।
স্কুলের মাঠে শিক্ষার্থীদের পদচারনা হওয়ার কথা। সেখানে শুয়ে থাকে গরু-ছাগল। আমাদের
সময়ে (১৯৯০-৯৬) লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌবন ছিল। সকাল থেকে রাত অবদি
শিক্ষার্থী শিক্ষকদের পদচারণায় মুখর ছিল স্কুল প্রাঙ্গণ। পড়াশুনার চমৎকার পরিবেশ
ছিল। শিক্ষকরা আন্তরিকতা দিয়ে পড়িয়ে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করেছিলেন। শিক্ষক
সংখ্যাও ছিল ২৫-৩০ জনের মত। ফলে সেই সময়কার অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরবর্তী জীবনে
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দিয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান
শিক্ষক বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত জনাব নুরুল আলম স্যারের নেতৃত্বে সগৌরবে ইতিহাস রচনা
করেছে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। নেপাল স্যার, জয়নাল
আবেদিন স্যার, নুরুল ইসলাম স্যার (আইসি স্যার) আবছার
হুজুর, শামুল হুদা স্যার, রাখাল
দত্ত স্যার, অভিনাশ স্যার, সমর
চৌধুরী স্যার, বড়ুয়া
স্যার (মন্মত রঞ্জন বড়ুয়া), এনাম স্যার, জামাল উদ্দিন স্যার, দুলাল স্যার, আশরাফ স্যার , শহিদুল্লাহ স্যার। যাদের আন্তরিকতা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বিদ্যালয়ের
ইতিহাস বর্ণাঢ্য তাঁরা অনেকেই এখন অবসরে। প্রতিষ্ঠানটি
আজ পঞ্চাশ বছর পার করেছে। অর্জন অনেক। ইতিহাস বর্ণাঢ্য। এই প্রতিষ্ঠানই লামা
উপজেলার আলোর বাতিঘর। আমরা যেমন শত ব্যস্ততার ফাঁকে মায়ের বুকে ফিরে আসি একটু
প্রাণ ভারে নিশ্বাস নিতে তেমনি এই প্রাণের প্রতিষ্ঠানও আমাদের মায়ের মত। এটি
আমাদের শৈশব। আমাদের শিকড়। এভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে ধুকে ধুকে হারিয়ে যেতে দিতে পারি
না। সুবর্ণজয়ন্তী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর
বাহাদুর উশৈচিং। বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে বক্তা
হয়ে আসছেন বিশিষ্ট নৃবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি
হিসেবে রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত
থাকবেন। সন্ধ্যায় আতশবাজি পোড়ানো ও দেশবরেণ্য জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এখন শুধু
সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সেই মহামিলনের অপেক্ষায়। আগামীতে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঋদ্ধ
ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে এতদঞ্চলের আলোকিত প্রজন্ম বিনির্মাণে এগিয়ে
যাবে, এ আনন্দিত প্রত্যাশায়...। বাংলাদেশ, ০৬ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার, ০২:৩০ পিএম