![]() |
কাছেদূরে ডেস্ক: বগুড়ার অন্যতম একটি
দর্শনীয় স্থান ‘দি প্যালেস মিউজিয়াম’।
।তিনশ বছর আগের নবাব
বাড়িটি ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে। ২০১৬ সালের মে মাসে
এটিকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করলে নবাব
মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম অ্যান্ড অ্যামাউজমেন্ট পার্ক বাণিজ্যিকভাবে
যাত্রা শুরু করে। নবাব আলতাফ আলী চৌধুরীর
অবর্তমানে তার ছেলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, নবাববাড়ির
একমাত্র উত্তরাধিকারী ছিলেন। পরবর্তীতে তার ছেলেমেয়েরা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক
হন। নবাব প্যালেসে প্রবেশ
করলে দেখা যাবে তরুণী-কৃষাণী বধূরা অপেক্ষা করছে কৃষাণের জন্য। নবাববাড়ির চারদিকে
পাতাঝরা গাছে পাখি বসে আছে। কোনো কোনো গাছে পাখিরা ঠোকাঠুকি করছে। পুরনো প্যালেসটি
এখন বিশাল এক জাদুঘর। বগুড়ার নবাববাড়ির
অতীত দিনের নেপালি দারোয়ান, মালী, পালকি, বেহারা, কোচওয়ান, টমটম, সিংহ, বাঘ,
কুমির, ময়ূর, রাজহাঁস, বিভিন্ন পাখির প্রতিমূর্তি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। নবাববাড়ি বিরাট হলরুমের
দেয়ালে নবাব আবদুস সোবাহান চৌধুরী, নবাবজাদা আলতাফ আলী চৌধুরী, তৎকালীন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী, সৈয়দ তহুরুন নেছা চৌধুরানী, সৈয়দ
আলতাফুন নেছা চৌধুরানীর ছবি রয়েছে। এর ঐতিহ্যকে স্থায়ী করে
রাখতে জেলার শিল্পী আমিনুল করিম দুলাল, অতিথি আপ্যায়ন, বিলিয়ার্ড খেলা, পড়ার
ঘরে বই সাজানো, জলসা ঘরে জলসার দৃশ্য, নায়েবের খাজনা আদায় এমন সব ভাস্কর্য
নির্মাণ করেন। প্রত্যেকদিন বিভিন্ন
জেলা থেকে অনেক দর্শনার্থী এই মিউজিয়াম দেখতে আসেন।